লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্নার তিস্তা চরের ধান ক্ষেতে অজ্ঞাত (৩৫) আরও এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
এ পর্যন্ত সিকিমের বন্যার পানিতে পাঁচজনের মরদেহ তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচজনের মরদেহ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চর সিন্দুর্না ৩নং ওয়ার্ডের ধানক্ষেত থেকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
অপর দিকে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভারত-বাংলাদেশ দুই পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের চওড়াটারী সীমান্তে দিয়ে দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে সদর থানার ওসি ওমর ফারুক ও ভারতের পক্ষে দিনহাটা পুলিশ ক্যম্পের ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র তামাংসহ বিএসএফ গিতলদাহ ক্যাম্পের অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ড্যান্ট পাপ্পু মিনা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রংপুরের গংগাচড়া ও নীলফামারীর চর খড়িবাড়ি এলাকা থেকে
দুইজন এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছে তিস্তা নদী থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে সিকিমের বন্যায় ভারত থেকে তাদের মরদেহ তিস্তা নদী হয়ে বাংলাদেশে ভেসে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড চর সিন্দুর্নায় ধানক্ষেত দেখতে গিয়ে এক কৃষক অজ্ঞাতপরিচয় এক মরদেহ দেখতে পায়। পরে ৯৯৯ ফোন করে জানার পর হাতীবান্ধা থানা পুলিশ রাত ৮ টায় গিয়ে অজ্ঞত পরিচয়ে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞত পরিচয় ওই ব্যক্তি ভারতের নাগরিক।